‘তামাক গরুও খায় না, এটা বাদ দিয়ে ফসল আবাদ করুন’
গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পিএম
তামাক গরুও খায় না, কাজেই এটা বাদ দিয়ে অন্য ফসল আবাদ করুন। এমনটি বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নোহালী ইউনিয়নের কেএনবি স্কুল মাঠে ‘মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারি গণসমাবেশে’ এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, তামাক শুধু মানুষের শরীরেরই ক্ষতি করে না, তামাক চাষ পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক চাষ কমিয়ে ভুট্টা চাষ করলে প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরি করা যাবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক জসিম উদ্দিন, বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাঈদ রেজা।
গণসমাবেশে নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান খামারি শাহিনুর ইসলাম।
মৎসজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে মৎস প্রকল্পে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করা যায়। প্রত্যেক বছরে যেন খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় এই দাবি তুলে ধরেন মুরগি খামারি রাবেয়া বেগম।
গণসমাবেশ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে, তাদের সঙ্গে অন্য মৎস্যজীবীদের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না।
এছাড়াও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আজ আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব বিবেচনায় তিস্তার ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে আপনাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করব। আশা করি তিস্তা একদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অভয়াশ্রম হয়ে উঠবে।