কবরস্থানের টাকা আত্মসাৎ করায় প্রকল্প কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে গণকবরস্থান নির্মাণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে কুমিল্লায় বদলি করা হয়েছে। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগান্তরে ‘সাইনবোর্ড আছে নেই গণকবরস্থান, রামগতিতে কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজের নির্দেশনা আসে।
নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে অতিদরিদ্র কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় গণকবরস্থানের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা (রূপরেখা) তৈরি করে রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জহিরুল ইসলাম।
ওই প্রস্তাবনা গ্রহণ করে ৬০ জন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে ৩৩ দিন কাজ করার বিপরীতে ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার একটি বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন।
গণকবর নির্মাণ বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তারহীদ রাব্বানী তুহিনকে।
চরবাদাম ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রোকসানা বেগমকে করা হয় প্রকল্পের সভাপতি। পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া সই-স্বাক্ষর দিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নেওয়া হয়।
এদিকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকার মাটি ভরাট করে ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা লুটে নেন প্রকল্পের সভাপতি, প্যানেল চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা।
শুধুমাত্র একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ দেখান ২০২৩ সালেই।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধান করে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর পিআইও জহিরুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।