Logo
Logo
×

সারাদেশ

একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি, বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ নেতা কারাগারে

Icon

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পিএম

একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি, বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ নেতা কারাগারে

নরসিংদীর বেলাবতে একই জমি চারজনের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার-ই আলম প্রধানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক মো. মেশকাতুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত কায়সার-ই আলম প্রধান বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে। তিনি জুপিটার পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের আরিফুর রহমান কায়সারের কাছ থেকে উজিলাব মৌজায় ৯.২৫ শতাংশ জমি কেনার কথাবার্তা হয়। তারা জমির মূল্য ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। পরে কথামতো আরিফুর দুই ধাপে ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।

পরে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর কায়সার আলম দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বেলাব সাবরেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল সম্পাদনের জন্য ১০ পাতা স্ট্যম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই করেন; কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রেশন না করে সেখান থেকে কৌশলে চলে আসেন। পরে জানা যায়, ওই জমি আরও চারজনের কাছে বিক্রি করেছেন। তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইলে কায়সার তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন।

পরে আরিফুর রহমান নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বেলাব আমলি আদালতে কায়সার-ই আলম প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত বেলাব থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বেলাব থানার এসআই আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আসামিদের সমন জারি করা হলে কায়সার ও ৪ নাম্বার আসামি নাজমুল ইসলাম সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত সব কিছু পর্যালোচনা করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কায়সারকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। আর নাজমুলের জামিন মঞ্জুর করে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম বলেন, বাদী সরল বিশ্বাসে জমি কেনার জন্য তাকে টাকা দিয়েছেন; কিন্তু তিনি বাদীর কাছ থেকে জমি বিক্রির টাকা নিয়েও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা আদালতে তার সই করা সব আসল ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি। যার ফলে আদালত সব কিছু বিবেচনা করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম