Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বামীর মোবাইলে প্রেমিকের ম্যাসেজ, বিয়ের ৪ দিন পর লাশ হলেন নববধূ

Icon

নোয়াখালী ও সুবর্ণচর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

স্বামীর মোবাইলে প্রেমিকের ম্যাসেজ, বিয়ের ৪ দিন পর লাশ হলেন নববধূ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মোবাইল ফোনে সাবেক প্রেমিকের পাঠানো ম্যাসেজ, ভিডিও নিয়ে অপবাদের জেরে প্রাণ দিতে হলো নববধূ ফাহিমা আক্তার পপিকে (২২)।

নিহত পপি সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের মেয়ে। তিনি সৈকত সরকারি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার ওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার বিকালে একই উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয় বাড়িতে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।    

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পপি স্থানীয় সৈকত সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কলেজে পড়াশুনা করার সময় পপির সঙ্গে মহিন ইসলাম রিয়াদের পরিচয় ছিল। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর রিয়াদ পপির স্বামী মাহমুদের কাছে দাবি করে পপির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। 

এরপর রিয়াদ পপির সংসার ভাঙ্গার জন্য তার সঙ্গে পপির বিভিন্ন ম্যাসেজ, যৌথ ভিডিও তার স্বামীর মোবাইল ফোনে প্রেরণ করে। এ নিয়ে মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা নববধূকে চরিত্র ভালো নয় বলে বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকে। পরবর্তীতে মাহমুদ পপির সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানায় এবং তার মতো মেয়ে বেঁচে না থেকে মরে যাওয়ার জন্য বলে অপবাদ দেয়। 

এ অবস্থায় গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত নববধূর চাচা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিদেবন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম