Logo
Logo
×

সারাদেশ

কয়রায় বিধবার বয়স্ক ভাতা তোলেন কে?

Icon

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম

কয়রায় বিধবার বয়স্ক ভাতা তোলেন কে?

খুলনার কয়রায় তালিকাভুক্তির পরও ২১ মাস যাবৎ বয়স্ক ভাতার টাকা পাননি খিরোল গ্রামের বিধবা জলেখা বিবি। পরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে এই নারীর বয়স্কভাতা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। 

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য হাসানুর রহমান ও তার ভাই আক্তার মোড়ল।

এ ঘটনায় উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খিরোল গ্রামের বিধবা জলেখা বিবির ছেলে আইয়ুব আলী মল্লিক গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে জানা গেছে,  জলেখা বিবি আমাদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাচাই-বাছাই হয়ে বয়স্কভাতাধারী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে তালিকায় নাম থাকায় টাকা পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে নগদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়; কিন্তু তালিকাভুক্তির ২১ মাস যাবৎ তিনি মোবাইলে বয়স্ক ভাতার টাকার এসএমএস পাননি। 

পরে টাকা না পাওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন,  জলেখার নামে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, তার মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকা একটি নির্দিষ্ট নম্বরে চলে যাচ্ছে। তখন সে নাম্বারটি যাচাই-বাছাই করা হয়। 

উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানা গেছে, এটা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের আপন ভাই আক্তার মোড়লের নম্বর। ইউপি সদস্য প্রতারণা করে তার ভাইয়ের মোবাইলে ৭ কিস্তিতে মোট ১২,৮১০ টাকা তুলে নিয়েছেন। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন; যার কারণে জলেখা বয়স্ক ভাতাধারী হয়েও টাকা না পেয়ে অভাব-অনটনে কষ্ট পাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম