মসজিদের জায়গা দখলের পাঁয়তারা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরশহরের গুলবাগ জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে গুলবাগ জামে মসজিদের সম্পত্তি সুরক্ষা কমিটি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মসজিদ কমিটির সদস্য মশিউর রহমান। এ সময় মসজিদের সহকারী মোতাওয়াল্লি সাজ্জাদুল হক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া সবুজ, অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক দুলাল, সদস্য আব্দুল লতিফ ও মো. নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্যে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে ৯ শতাংশ ভূমির ওপর একটি নামাজখানা প্রতিষ্ঠা করেন বাহাউদ্দিন মল্লিক। পরে ১৯৭৮ সালে ওই নামাজখানাকে গুলবাগ জামে মসজিদ হিসেবে রূপান্তর করা হয়। পরিবারের লোকজন পর্যায়ক্রমে মসজিদের নামে আরও ৯ শতাংশ ভূমি দলিল করে দেন।
বর্তমানে মসজিদের নামে ৩১ শতাংশ ভূমি রয়েছে। ১০২৩নং দাগে ১৮ শতাংশ এজমালি মসজিদসংলগ্ন পুকুর সব ওয়ারিশের কল্যাণার্থে ২০১১ সালে কেন্দুয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ২৩০৭ নম্বর ওয়াকফ দলিল মূলে গুলবাগ জামে মসজিদ বরাবর দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু বাহাউদ্দিন মল্লিকের ছেলে এমএ বাকী মল্লিকের উত্তরাধিকারীরা স্থানীয় অসাধু ভূমিদস্যুদের সহায়তায় পারিবারিকভাবে ঘরোয়া আপস-বণ্টননামা পাশ কাটিয়ে এবং তাদের প্রাপ্ত অংশ অন্যত্র বিক্রি করার পরও বিগত ২০১০ সালে দুইটি জমা খারিজের (নং ১২৮০ ও ১২৮১) মাধ্যমে এজমালি পুকুরের (বিআরএস দাগ-১০২৩) ১৮ শতাংশ ভূমি বেআইনিভাবে তাদের নামে খারিজ (নামজারি) করিয়ে নেন।
বিষয়টি জানার পর মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে নামজারি বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়। মসজিদের সম্পত্তি সুরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া সবুজ বলেন, গুলবাগ জামে মসজিদের মোট সম্পত্তি ৩১ শতাংশ। এর মধ্যে বাহাউদ্দিন মল্লিকের মৃত্যুতে তার ত্যাজ্যবিত্তে মসজিদ সংলগ্ন দিগদাইর মৌজাস্থিত ২২৮নং বিআরএস রেকর্ডের ১০২৩ দাগের ১৮ শতাংশ পুকুরটির মালিকানার প্রকৃত সত্য গোপন করে অসৎ ও হীনস্বার্থে বেআইনি দখলের পাঁয়তারা চলছে। এতে মসজিদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অশুভ ও অসৎ এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের অনুরোধ জানান তিনি।