Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সাদের জামিন নামঞ্জুর

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম

মাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সাদের জামিন নামঞ্জুর

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার জয়পুরপাড়ায় নিজ বাড়িতে মা উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে র্যাবের হাতে গ্রেফতার সাদ বিন আজিজুরের (১৯) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

গ্রেফতার তিন আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান ও পুলিশের তদন্তে সাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরিবার থেকে বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া সিদ্দিকা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর দুপুরে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের জয়পুরপাড়ায় আজিজিয়া মঞ্জিলে ঢুকে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনকে (৫০) হত্যা করে। এরপর তারা লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। ঘটনাটি ডাকাতদের কাজ তা প্রমাণ করতে খুনিরা ঘরের আলমিরাতে কুড়াল দিয়ে কয়েকটি কোপ দেয়। এছাড়া যাবার আগে তারা নিহত সালমার দুটি মোবাইল ফোন, বাড়ির ইন্টারনেট রাউটার ও তালা দিয়ে প্রধান ফটকের চাবি নিয়ে যায়।

এদিকে গৃহবধূ হত্যায় জড়িত সন্দেহে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির একটি দল ১১ নভেম্বর মধ্য রাতে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলায় আড়োবাড়ি গ্রামে দাদার বাড়ি থেকে সাদকে গ্রেফতার করে। পরদিন র্যাব কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন- মাদকাসক্ত, পরকীয়ায় জড়িত ও অনলাইন জুয়াড়ি সাদ হাত খরচের টাকা না পেয়ে তার মাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখে। এরপর সে কাজটি ডাকাতের সাজাতে ঘরের জিনিসপত্র তছনছ ও কুড়াল দিয়ে আলমিরাতে কয়েকটি আঘাত করে।

পুলিশ সাদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দ্বিতীয় দিন সাদ চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। সে জানায়, র্যাব কর্মকর্তা তার কাছে স্বীকারোক্তি আদায় করেছেন। এতে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এ হত্যাকাণ্ডে সাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাড়ির তৃতীয়তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া সুলতানা হাসির অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া তিনি দুই সহযোগী মোসলেম উদ্দিন ও সুমন রবিদাসের সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ড ঘটান।

পুলিশ ১৫ নভেম্বর নিহত সালমার বাড়ির তৃতীয়তলা থেকে মাবিয়া সুলতানা হাসি ও উপজেলার তালুচ গ্রাম থেকে মোসলেম উদ্দিন ও সুমন রবিদাসকে গ্রেফতার করে। পৃথক রিমান্ডের পর তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া তাদের হেফাজত থেকে নিহত সালমার দুটি মোবাইল ফোন, বাড়ির চাবি ও রাউটার উদ্ধার করে। তারা যে রিকশা ভ্যানে এসে হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন সেটিও জব্দ করা হয়েছে।

সাদ তার মাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে গুম করেছিল- এমন খবরে পুরো জেলার মানুষের মাঝে প্রচণ্ড ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে সাদ নির্দোষ ও তিন আসামি গ্রেফতার হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তাই বৃহস্পতিবার পরিবার থেকে বর্তমানে জেলহাজতে থাকা সাদের জামিন আবেদন করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম