ভুয়া সনদে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্নাতক পাশের ভুয়া সনদ দিয়ে শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. আহসান হাবিব নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ৩ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিয়োগ করা হয়।
বিষয়টি জানার পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি দেখে অবাক হয়েছেন।
বিদ্যোৎসাহী সদস্য হওয়া মো. আহসান হাবিব চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা এবং চিতলমারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ পরিচালনা কমিটির ম্যানুয়াল অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্যকে অবশ্যই স্নাতক পাশ হতে হবে। কিন্তু মো. আহসান হাবিব নামের ওই ব্যক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সনদ প্রদান করেছেন, সেটি নকল। ওই সনদপত্র অনুযায়ী তিনি ১৯৯৭ সালে পাশ করেছেন। তার রোল নং ৭১১২, রেজি নং ১৫১১৯৭। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টেবুলেশন বইয়ে এই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের সামনে অকৃতকার্য লেখা রয়েছে। এছাড়া ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজী বিদ্যোৎসাহী সদস্য অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আবেদন করেছিলেন, ওই আবেদনে আহসান হাবিবের নাম ছিল না।
এ বিষয়ে মো. আহসান হাবিব বলেন, আমি দুইবার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। প্রথমবার অকৃতকার্য হয়েছি এটা সত্য, দ্বিতীয়বার আবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানে ভুলে আমার ছেলে প্রথমবার দেওয়া পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়েছে; যার ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে৷
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টেবুলেশন বইয়ে আপনার নামের সামনে অকৃতকার্য লেখা আছে- এমন প্রশ্ন করলে আমি এলএলবি পাশও করেছি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজী বলেন, আসলে এই সনদ যাচাইয়ের সুযোগ আমার নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে মনোনীত করেছেন।