বগুড়ায় বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করা শিশু আরবী আকতারের (৭) মরদেহ পুকুরে পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে খেলার সময় শিশুটি নিখোঁজ হয়। বুধবার সকালে সদর উপজেলার গোকুল সরকারপাড়া গ্রামে বাড়ির কাছে পুকুরে জাল ফেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সদর থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন জানান, শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। প্রতারকরা লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পরিবারকে ভুয়া বিকাশ নম্বর দিয়েছিল।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শিশু আরবী আকতার বগুড়া সদরের গোকুল সরকারপাড়ার কাজল মিয়ার ছেলে। শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে খেলার সময় সে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবার থেকে ফেসবুকে ছবি দিয়ে তার সন্ধান চাওয়া হয়। এরপর ২-৩টি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে শিশু আরবীর সন্ধান দিতে লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বিষয়টি সদর থানায় অবহিত করলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন, ওই সব নম্বরে বিকাশ আইডি নেই। ফেক জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমগুলো তোলা হয়েছে।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে শিশুর পরিবারকে পুকুরে জাল ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়। বুধবার সকালে গ্রামের পুকুরে জাল ফেললে শিশু আরবী আকতারের মরদেহ পাওয়া যায়।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি খেলার সময় পুকুরে পড়ে ডুবে গিয়ে মারা যায়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।