২৬ শ টাকার জন্য নারীকে, হত্যা দুইজনের যাবজ্জীবন
বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
টাঙ্গাইলে এক নারীকে হত্যার দায়ে অপর এক নারীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আফরোজা বেগম মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (৩৬) এবং একই এলাকার মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জল ইসলাম (৩৩)। তাদের উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সদ্য বিদায়ী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন। তিনি জানান, বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের সুনীল কুমার দাসের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দাস (৪৮) দণ্ডিত মনোয়ারা আক্তারের সঙ্গে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে ঝর্ণা মনোয়ারার কাছে প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির দুই হাজার ছয়শ টাকা পেতেন।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাওনা টাকার জন্য ঝর্ণা মনোয়ারার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন; কিন্তু তিনি রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই রাতে তারা বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ মনোয়ারার বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এ সময় মনোয়ারা পুলিশকে জানান, সকালে পাওনা টাকা চাইতে আসার পর ঝর্ণা রানীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার প্রতিবেশী ভাতিজা উজ্জল ইসলামের সহায়তায় ঝর্ণাকে ঘরে নিয়ে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
তিনি বলেন, ঝর্ণার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল খুলে নিয়ে যায়। মনোয়ারার বসতঘরে একটি কক্ষের মেঝেতে ঝর্ণার লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ মনোয়ারার ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পরদিন ঝর্ণার স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে দণ্ডিত দুইজনের বিরুদ্ধে বাসাইল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।