Logo
Logo
×

সারাদেশ

৪০ লাখ টাকার গরু-মহিষ নিয়ে গেল ডাকাত

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম

৪০ লাখ টাকার গরু-মহিষ নিয়ে গেল ডাকাত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও একটি গরুর ফার্মে হানা দিয়েছে ডাকাত দল।

সোমবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদ তৌহিদের মালিকানাধীন ওই ফার্মের তিন কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফার্ম থেকে লুট করা হয়েছে ১টি মহিষসহ ২১টি গরু; যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ফার্মের মালিক তৌহিদ। 

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর হাবিলাসদ্বীপ এলাকায় হেলাল চৌধুরীর ফার্মে একইভাবে ডাকাত দল হানা দিয়ে ১৯টি গরু লুট করে নিয়ে যায়; যার আনুমানিক মূল্য ৪৫ লাখ টাকা। এখনো একটি গরুও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম ও ফার্মের মালিক তৌহিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে কসাইয়ের কাছে একটি গরু সরবরাহের কথা ছিল। গরুটি সরবরাহের জন্য তিনি ভোরে ফার্মের কর্মচারীদের ফোন দিলেও সংযোগ পাচ্ছিলেন না। পরে খামারে গিয়ে তাদের হাত পা বাঁধা অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। খামারের বাইরে তিনটি গরু ও কর্মচারিদের মোবাইল ফোন খুঁজে পান। এ সময় দেখতে পান ফার্মে ২১টি গরু মহিষ নেই। পরে খবর দেওয়া হলে পটিয়া থানার এস আই মোহাম্মদ সোহেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  

ফার্মের কর্মচারী আলাউদ্দিন জানান, রাত ২টার পর প্রথমে ১২ জন ডাকাত অগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ নিয়ে ফার্মে প্রবেশ করে তাদের তিনজনকে আলাদাভাবে জিম্মি করে বেঁধে রাখেন। এরপর তারা এসব গরু মহিষ নিয়ে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতেও মোটরসাইকেলযোগে একদল ডাকাতকে তারা দেখতে পেয়েছিলেন। তাদের ধারণা ডাকাতরা ডাকাতির কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। লুট করা পশু গাড়িতে তুলে দেওয়ার পর তারা আবার মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে। 

গত ১৩ নভেম্বর ডাকাতির ঘটনায় তিনবার এজাহার পরিবর্তন করে চুরির মামলা নেওয়ার অভিযোগ করে ফার্মের মালিক হেলাল চৌধুরী জানান, ডাকাতির ঘটনাকে চুরির রূপ দিতে এজাহারে কর্মচারীর নাম দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার ৪ দিন পর প্রধান চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। 

তিনি বলেন, যে চোরকে গ্রেফতার করার কথা জানানো হয়েছে, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে প্রকৃত অর্থেই জড়িত কিনা সন্দেহ আছে। ওই চোর জড়িত থাকলে দুই-একটি গরু অথবা টাকা উদ্ধার নয়তো ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করা সম্ভব হতো। পুলিশ অন্য চুরির মামলার আসামিকে তার ফার্মে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত দেখিয়ে তাদের অর্জন দেখানোর চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম