কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে দাউদকান্দির জুরানপুর শাখা কৃষি ব্যাংকের সহকারী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেনকে (৪০) পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আলাউদ্দিন ও তার ভাই রিপন, লিটন গং।

আহত মনিরের স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া ব্রিজের ওপর।

আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বারকাউনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মনির হোসেনের বড় ভাবি ফারিয়া আক্তার শ্যামলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫ অজ্ঞাত করে তিতাস থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনির হোসেন ও আলাউদ্দিন গংদের সঙ্গে আগে থেকেই মামলা মোকদ্দমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে মনির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মামলার বাদী ফারুয়া আক্তার শ্যামলী বলেন, আমার দেবর মনির হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় বাতাকান্দি বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে বারকাউনিয়া ব্রিজের উপর পথরোধ করে আলাউদ্দিন, রিপন ও লিটন গং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। আমি থানায় মামলা করেছি। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা আলাউদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের পর লিটন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মনির গংরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। ওই ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মনির গংরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে মারামারি হয় এবং আমাদের পক্ষের মোহাম্মদ আলী নামে একজন আহত হয়েছেন; তিনি এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, বারকাউনিয়ায় মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা কাজ করছেন।