এএসপি-এসআইদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) ও ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২৪ ও ২৬ নভেম্বর এই প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কেন কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হলো সে ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তর কিছু জানায়নি।
৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের গত বছরের ২০ অক্টোবর এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষে গত ২০ অক্টোবর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এ জন্য দেড় হাজারের অধিক অতিথিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আগের রাতে হঠাৎ করেই কুচকাওয়াজ স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর আবারও ২৪ নভেম্বর এই অনুষ্ঠানের জন্য দিন ঠিক করা হয়। তবে এবারও তা স্থগিত করা হলো।
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মহিউল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের তিনজন এবং ৪০তম ব্যাচের ৬৩ জনসহ মোট ৬৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। আগামী ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সমাপনী কুচকাওয়াজ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মহিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় এই সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল। অনিবার্য কারণবশত সেটি স্থগিত করা হয়েছে। কিছুদিনের জন্য এটা স্থগিত। আবার দ্রুতই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।’
এদিকে গত বছরের ৫ নভেম্বর ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জন এসআইয়ের এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। গত ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত ২১ অক্টোবর প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন এবং সবশেষ সোমবার তিনজন এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ব্যাচের ৩১৩ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশতা না খেয়ে প্রশিক্ষণ মাঠে হইচই করা এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে অমনোযোগী থাকার অভিযোগ আনা হয়। যদিও এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তা অস্বীকার করে আসছেন চাকরিচ্যুতরা।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেহেলা পারভীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হলো সেটা আমি জানি না। কবে আবার হবে সেটিও জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করেছি।’