বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে মামুনুর রশিদ (৩৫) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ওসি একেএম মঈন উদ্দিন জানান, মামুন গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার আত্মহত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, মামুনুর রশিদ বগুড়া সদর উপজেলার শেকেরকোলা ইউনিয়নের তেলিহারা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম মন্ডলের ছেলে। তিনি নোয়াখালীর চাঁটখিলে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে থাকতেন। রশিদ গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজছিলেন। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি সোমবার বিকালের দিকে বগুড়া শহরের মাটিডালি এলাকায় মাহথির হোটেলে ওঠেন। রাত ১০টার দিকে বাহিরে যান। আবার রাত ১২টার দিকে ফিরে আসেন। রাত ৪টার দিকে হোটেল ছেড়ে দেন। এরপর সেখান থেকে ঠেঙ্গামারা এলাকায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬তলায় উঠেন। দু’বার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর ভোর ৫টার দিকে তৃতীয় বার তিনি নিচে লাফ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, মামুন সোমবার ১০টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তিনি ১৭ তলা ভবন থেকে রেলিং ধরে নিচে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। উপস্থিত লোকজন তাকে সেখান থেকে বের করে দেন। ভোরে এসে আবার তিনি ১৬ তলা থেকে লাফ দেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি একেএম মঈন উদ্দিন জানান, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে তার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে স্ত্রী ও সন্তান নোয়াখালীর চাঁটখিল থেকে রওনা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে মামুনুর রশিদের আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। তার কোন ঋণ ছিল কী না বা পারিবারিক অশান্তি সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেননা। এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।