পরিবারের কাছে ফেরা হল না মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লালের

কে এম রায়হান কবীর, শরীয়তপুর
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ এএম
-673b95475e7a9.jpg)
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিল্লাল মোড়ল (৩০) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৬ টার দিকে মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুর শহরের সুলতানাহ আমিনাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত বিল্লাল মোড়ল শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মদন তালুকদার কান্দি এলাকার আলাউদ্দিন মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে দশ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন বিল্লাল মোড়ল। তিনি সেখানে গিয়ে জোহর বাহরু শহরে টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করতেন। সবশেষ তিন বছর আগে ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের মতো ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে করে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি।
এ সময় একটি সড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে তার মোটরসাইকেলটি বামপাশ থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সুলতানাহ আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার বাংলাদেশের সময় রাত ৬ টার দিকে মারা যান। এদিকে এই খবর পরিবারের কাছে পৌঁছলে এলাকাজুড়ে শোকের মাতম শুরু হয়।
বিল্লাল মোড়লের ভাই রহমান মোড়ল বলেন, আমার ভাই ভীষণ পরিশ্রমী ছিল। এবার দেশে আসলে ওকে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঘাতক গাড়ি আমার ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিলো। শেষবারের মতো ভাইয়ের মুখটা দেখতে চাই।
নিহতের বন্ধু তসলিম ইমামুল হক বলেন, ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। খুব ভালো ছেলে ছিল বিল্লাল। ওর এমন মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই সরকারিভাবে ওর লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিমা খাতুন বলেন, বিল্লাল আমার ভাই। আমরা ওর লাশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুর ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদন করলে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।