বিদ্যালয় নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পিএম
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ ষোলোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। যাদের মধ্য থেকে ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গণিগঞ্জ বাজারে গণিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রউফ ও ইউপি সদস্য আবদুল আউয়াল পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
গুরুতর আহতরা হলেন- ইউপি সদস্য আবদুল আউয়াল পক্ষের জাকারিয়া আহমদ ও আবদুর রউফ পক্ষের ফারুক মিয়া। তাদেরকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
উভয়পক্ষের অন্যান্য আহতরা হলেন- চান মিয়া, রাফি মিয়া, আনফর আলী, বিল্লাল আহমদ, ইয়াসিন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মো. কামাল হোসেন, শামীম আহমদ, আবদুল ওয়াহিদ, জহির মিয়া, মো. মোসাহিদ আলী, আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, একরাম হোসেন ও জোনাব আলী প্রমুখ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণিগঞ্জ ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ, সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক শামীম আহমদ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়াসহ অন্যান্য অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে আবেদনপত্র দিয়ে গত ১১ নভেম্বর কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন গণিগঞ্জ ষোলো গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। একদিন পর অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর বুধবার অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরোদা রানী রায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা।
তাদের উপস্থিতিতে কিছুটা হট্টগোলও করেছিলেন উপস্থিত জনতা। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই মতবিনিময়। মতবিনিময় সভায় স্কুলের ছাত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তখন ইয়াছিন মিয়া নামের বহিরাগত এক যুবক ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে চাইলে আবদুর রউফের ছেলে শামীম আহমদ মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ইয়াছিন মিয়াকে শাসিয়ে দেন। এ ঘটনায় তখনই কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
রোববার আবদুল আউয়াল পক্ষের সিএনজিচালক আবদুর রব ও আবদুর রউফ পক্ষের সিএনজিচালক জহিরুল ইসলামের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে উভয়পক্ষের শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। তখন দিরাই-মদনপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।