যোগদানপত্রে নাম বদল করে ২৭ বছর চাকরি, ন্যায়বিচার চান হাকিম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
কুড়িগ্রাম বনবিভাগে যোগদানপত্রে নাম পরিবর্তন করে রাজারহাটে মালী পদে ২৭ বছর চাকরি করেছেন আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। ২০১৪ সালে হাইকোর্ট থেকে চাকরি স্থায়ীকরণে আব্দুল হাকিমের নাম থাকলেও চাকরি ফিরে পাননি বলে অভিযোগ প্রকৃত আবেদনকারীর।
চাকরি ফিরে পেতে গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই আব্দুল হাকিমের।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের গুয়াতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম। ১৯৯৪ সালে বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেট বনরক্ষক দপ্তরে থানা বনায়ন ও নার্সারি প্রকল্পে মালী পদে পরীক্ষায় অংশ নেন।
১৯৯৭ সালে উপকূলীয় বনবিভাগ চট্টগ্রাম থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৯৭টি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই সময়ে পোস্টম্যানের ভুলের কারণে নিয়োগপত্র হাতে পাননি আব্দুল হাকিম। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে চাকরি স্থায়ীকরণের রায় হলে আব্দুল হাকিম জানতে পারেন একই গ্রামের আব্দুর রহমান তার পদে চাকরি করছেন। নিয়োগের কপি উঠানো হলে সেখানে দেখতে পান নামের জায়গায় ঘষামাজা করা এবং পিতার নাম কাটা রয়েছে।
বিষয়টি জানার পর কুড়িগ্রাম, রাজারহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বনবিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আব্দুল হাকিম বলেন, আমার যৌবনকাল শেষ কিন্তু আমার ওপর যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমি পরীক্ষা দিছি। আব্দুর রহমান কোনো পরীক্ষা দেয় নাই। আমার হাইকোর্টের রায় আছে। আমার যোগদানপত্র পরিবর্তন করে ২৭ বছর চাকরি করেছে সে। আমার সঙ্গেই পরীক্ষা দেওয়া লোক মো. রফিকুল ইসলাম ১৪৮নং নিয়োগপত্রে চাকরি করছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সব জায়গায় বিচার চেয়েছি। কিন্তু অন্যায়ভাবে চাকরি করে আসা আব্দুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ অনেক রকম অত্যাচার করে আসছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সহকারী বন সংরক্ষক বলেন, আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন মালী পদে কর্মরত ছিলেন। তবে যোগদানপত্রে কোনো গরমিল করেছেন কিনা তা জানা নেই। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করলে জানা যাবে।