যমুনা নদীর নাব্য সংকটের কারণে চলতি মাসে তৃতীয় বারের মতো আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে নদীর দুই পাড়ের ঘাটে আটকে পড়েছে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। দুর্ভোগে পড়েছেন চালক, শ্রমিক ও পারাপারের যাত্রীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, নৌ চ্যানেলে ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির গভীরতা না থাকায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

আরিচা অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে অচলবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই বিআইডব্লিউটিসি ফেরি চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, এই নৌরুটে বর্তমানে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন নিয়ে প্রতিটি ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতার প্রয়োজন হয়। অথচ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে রয়েছে। এ অবস্থায় কোনোভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এনিয়ে চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হলো।

এর আগে ১১ নভেম্বর টানা ৬২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ড্রেজিং করে নাব্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। ৫ দিনের মাথায় ফেরি নাব্য সংকট প্রকোট আকার ধারণ করায় দুর্ঘটনা এড়াতে ১৬ নভেস্বর রাত থেকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় বন্ধ রাখা হয়েছে।