‘হাসিনার জন্য এত মায়া হলে আরেকটি তাজমহল করেন’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ভারত সরকারকে বলি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় আপনাদের যদি প্রাণ ফেটে যায়। আপনাদের যদি এতই মায়া হয়। তাহলে শেখ হাসিনার জন্য আরও একটি তাজমহল গড়ে তুলেন। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার করবেন না।
তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা হিন্দু মুসলিম যুগ যুগ ধরে, আবহমান কাল ধরে এক সঙ্গে বসবাস করছি। আমরা একে অপরের আনন্দ বেদনার সাথে মিলে মিশে আছি। আমাদের এই আনন্দ নষ্ট করবেন না।
রোববার বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহিদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহিদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারতের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিদিন যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা যদি বিশ্বাস করত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বোভৌম দেশ। তাহলে তারা (ভারতীয় মিডিয়া) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ ধরণের অপপ্রচার করত না।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল জুলুমকে মেনে নিয়ে দেশেই ছিলেন এবং আছেন। আর শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। সব রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে তারা সবাই আপনাকে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু সাবধান থাকবেন। কারণ অনেক চক্রান্ত হচ্ছে, যড়ষন্ত্র হচ্ছে।
রিজভী বলেন, আমাদের বহু দিনের অর্জিত গণতন্ত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের ইলিয়াস আলী নেই, চৌধুরী আলম নেই, সাইফুল ইসলাম হিরু নেই। অসংখ্য তারুণ্যের গুম হয়ে যাওয়া হত্যা হয়ে যাওয়া। যারা রংপুরের শহিদ আবু সাঈদসহ অসংখ্য তাজা প্রাণকে হত্যা করেছে। তাদের প্রত্যাবর্তণের জন্য যদি পাশ্ববর্তী দেশ চক্রান্ত করে তাহলে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা মেনে নিবেনা।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।