স্বামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ প্রভাষক স্ত্রীর
যুগান্তর প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রভাষক স্ত্রী ফয়জুন্নেছা লিজা। তিনি আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ইংরেজির প্রভাষক।
রোববার সকালে কলেজের অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামাল হোসেনসহ কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক ফয়জুন্নেছা লিজা বলেন, গত ১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আওয়ামী লীগ নেতার দাপটে তটস্থ শিক্ষকরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে শহিদ স্মৃতি কলেজ এবং আমার স্বামী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. সোহেল রানাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়।
তিনি বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আমার স্বামী আমাকে কলেজে নিয়োগ দিয়েছেন বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। যা সঠিক নয়। ২০১১ সালে বিধি মোতাবেক আমার নিয়োগ হয়। আনিসুল হক মন্ত্রী হন ২০১৪ সালে।
প্রভাষক ফয়জুন্নেছা লিজা আরও বলেন, আমি শিক্ষকদের ভোটে কলেজের টিআর হয়েছিলাম। আমার স্বামী কলেজের আভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে প্রভাব খাটাননি এবং শিক্ষকদের সঙ্গেও কোনো খারাপ আচরণ করেননি। আমার স্বামী একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। সরকারি বিধি মোতাবেক তিনি কাজ করেছেন। আমি ও আমার স্বামীর সামাজিক মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য কতিপয় শিক্ষকের যোগসাজশে এই মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
মিথ্যা মামলায় তার স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় কলেজের প্রভাষক ফারুক আহমেদ বলেন, শেখ সোহেল রানা কলেজে কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেননি। শিক্ষকদের সঙ্গেও কোনো খারাপ আচরণ করেননি। তিনি একজন ঠিকাদার। তিনি কলেজের উন্নয়ন কাজ এবং কলেজ জাতীয়করণের জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
প্রভাষক মাহবুবু হোসেন বলেন, শেখ সোহেল রানা আমাদের সাবেক ছাত্র। ছাত্র হিসেবে আমাদের শ্রদ্ধা করতো। আমাদের সঙ্গে তার কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল না। অনৈতিক সুবিধা নেওয়া বা পেশি শক্তিও প্রদর্শন করতো না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে কলেজের ২৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদপত্র সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। প্রতিবাদপত্রে কলেজকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়।