ছবি: সংগৃহীত
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে বাড়তে শুরু করেছে শীত। ভোরের কুয়াশায় শুভ্র শিশির দোল খাচ্ছে ঘাসের ডগায়। আগের থেকে তাপমাত্রা নেমে বাড়ছে শীতের অনুভব। গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশা পড়ছে উত্তরের এই জেলায়। মাঝরাত থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টায় উত্তরের এই জেলায় সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়। গতকাল সকালে ১৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। রোববার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবার ১৭ দশমিক ০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সামনের দিকে যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।
কুয়াশার কারণে ভোরবেলায় সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত বাড়ায় বেড়ে গেছে শীতের কাপড় বিক্রিও। বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম কাপড় কিনছেন অভিভাবকরা। কয়েকদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শনিবারের তুলনায় আজ ভোরে শীতের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। পড়ছে হালকা কুয়াশা। শীতকে উপেক্ষা করেই ধান ক্ষেতে ছুটছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য উঠলেও হালকা কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যাচ্ছেন চাষিরা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরেই শীতের মাত্রা বেড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাতে গায়ে কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এই অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকে।
এদিকে শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে দুয়েক মাসের আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছেন। বেড়েছে বিক্রিও।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।