বিজয়নগরে দেড় মাসে ২৫ দোকানে চুরি
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে গত দেড় মাসে ২৫ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যবসায়িদের প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই চার দিন পর পর চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই বিষয়ের স্থায়ী সমাধান চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
১ম ধাপে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে হ্যাপি ইলেকট্রিক, চৈতি ইলেকট্রিক, স্মৃতি এন্টারপ্রাইজ নামের ৪ টি দোকান চুরি হয়। ২য় ধাপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আল মদিনা হোটেল এন্ড সুইটমিট, বিশ্বকর্মা হার্ডওয়্যার্ড, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর, জাকির মিয়ার সেলুনের দোকান সহ ৪ টি দোকান চুরি হয়।
৩য় ধাপে গত ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে চাউরা হোমিও হল, বন্ধু মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, মা বস্ত্রালয়, তৃপ্তি মেডিকেল হল, ইমন দাসের লন্ড্রির দোকান, মো. ফয়েজ মিয়ার সেলুনের দোকান, মনিল রবি দাসের জুতার দোকান সহ ৭টি দোকানের মালামাল চুরি হয়।
চতুর্থ ধাপে গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদ নুর মিয়ার চাউলের মেইল, মোঃ সোহেল মিয়া চাউলের দোকান, মোঃ তুষার মিয়ার সাইকেল মেকানিক্যাল দোকান, কিশোর পালের চায়ের দোকান, মোহাম্মদ আল-আমিন ওয়ার্কশপের দোকান ও মা বাবার দোয়া ফার্নিচার সহ মোট ৬ টি দোকান চুরি হয়। ৫ম ধাপে ১৩ নভেম্বর রাতে আজমেরী সুপার স্টোর, থ্রী স্টার মটরস ও মজুমদার মেডিকেল হল নামের ৩ টি দোকান চুরি হয়।
সিঙ্গারবিল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন পাহারাদারকে দৈনিক চাঁদা দেওয়ার পরও এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেই চলছে, বাজার কমিটিদেরকে বিষয়টি জানালে তারা দেখবে দেখবে বলে। এরই মাঝে আবারও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর ব্যবসা করতে পারব না।
চুরির আতঙ্কে দোকানে মালামাল তুলতে পারি না। ব্যবসায়ীরা চুরির সঙ্গে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানান।
সিঙ্গারবিল বাজারের পাহারাদার সেন্টু মিয়া বলেন, আমরা ৪ জনে বিশাল বড় বাজার পাহারা দেয়। দোকানের পিছন দিকের জানালা বা বেড়া কেটে চুরি হয়। দোকানের পিছনে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। আমরা চুরি হওয়ার কোনো শব্দ পায় না।
সিঙ্গারবিল বাজারের সাবেক সভাপতি আবুল ফায়েজ বলেন, পাহারাদারকে আমি জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে পিছনের দিক দিয়ে চুরি হয় বলে জানান। দোকানের পিছনে তারা যাওয়ার রাস্তা নেই। আমি দোকানদারদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশান আলী জানান, আমি যোগদানের পরে বিভিন্ন বাজারের পাহাড়াদারদের নজরদারি বাড়াতে চেষ্টা করছি। আমাদের পুলিশের টহল টিমকে আরো নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছি।