Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্ত্রীকে বাসা ছাড়া করতে যে কাণ্ড ঘটালেন আইনজীবী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

স্ত্রীকে বাসা ছাড়া করতে যে কাণ্ড ঘটালেন আইনজীবী

পটুয়াখালীতে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে‌ স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগে থানায় জিডি করেন অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। তিনি পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য। 

 

স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তিনি জানান। অন্যদিকে স্বামী পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে জানালেন আইনজীবীর স্ত্রী সোমা দেবনাথ।

 

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার এলিট হোমস নামে ওই আইনজীবীর বাসায় গিয়ে এ ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে। 

 

আইনজীবীর স্ত্রীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে পটুয়াখালীর বাসিন্দা সোমা দেবনাথকে বিয়ে করেন। তাদের একটি চার বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। তারা পটুয়াখালী পিটিআই রোডে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন।

 

কয়েক বছর যাবত দুলাল চন্দ্র দেবনাথ হঠাৎ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে অসদাচরণ করতে শুরু করেন এবং স্ত্রীকে মারধরও করেন। পরে সোমা দেবনাথ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামী একজন নারী আইনজীবীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূতভাবে বসবাস করছেন।

 

এমন পরিস্থিতিতে বর্তমানে সোমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেন তিনি। এতে অভিযুক্ত আইনজীবী ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে গালাগাল করে এবং বাসার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চলে যান এবং লোক দিয়ে হুমকি দেন।

 

বর্তমানে সোমা দেবনাথ গত ১ নভেম্বর থেকে বাসায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ছাড়া শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় অবরুদ্ধভাবে বসবাস করছেন। 

 

সোমার ভাই সুমান দেবনাথ বলেন, বোনের ওপর অত্যাচার ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় জিডি করেছে দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। এখন আমার বাসা থেকে খাবার এনে ওদেরকে খাওয়াচ্ছি। বাচ্চাটির দিকে তাকালে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমার স্ত্রী অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করে। তাই আমি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন কাজ করেছি। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় এ সমস্যার সমাধান করব।

 

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমি। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম