Logo
Logo
×

সারাদেশ

ড. মোমেন দম্পতির মামলায় আসামি এক অভিনেত্রীও

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ পিএম

ড. মোমেন দম্পতির মামলায় আসামি এক অভিনেত্রীও

বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলায় এবার আসামি হলেন ড. একেএম আব্দুল মোমেন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা মোমেন। তাদের সাথে আসামি করা হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহানকে। এ মামলায় ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জন এ মামলার আসামি।

সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক মামলাটি রেকর্ডের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে এ মামলা হয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তফুর আলীর ছেলে মো. আলাল মিয়া মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিরা হচ্ছেন- সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান (৪২), সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ (৪৬), মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল (৫৭), সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগ, সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন (৬০), যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. মোমেনের এপিএস শফিউল আলম জুয়েল (৪০), সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী (৫৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ (৫২), সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার (৩৮), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ (৪০), জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শহিদুল ইসলাম জাবেদ (৪৫)। 

এছাড়াও মামলার আসামি- জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুবাস দাস (৪৫), সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক (৫০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরন মিয়া (৬০), সিলেট মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন চৌধুরী (৬০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন (৬০), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী (৬৫), ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার নাজু (৩৭), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই খছরু (৫২), মহানগর ছাত্রলীগ নেত্রী জামান্তি গোয়ালা (২৪), মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত হোসেন চৌধুরী রাজু (২০), তেতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বেলায়েত (৩০), উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মাইজগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু (৫০), বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল হক টনি (৪৫), বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রানা (২৭), কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান (৫০), উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইক আহমদ (৪০), উপজেলা উলামা লীগ নেতা হাফিজ আব্দুল মতিন (৪৮), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (৩৫), সাতবাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সুবহান (৫২), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন চৌধুরী (৩৩), গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের গোলাপ মিয়া (৫৫), জেলা উলামা লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, মহানগর বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছুরত আলী (৪৬)।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান রামদা ছিটা, গুলি চাইনিজ কুড়াল ককটেল পেট্রলবোমা সাউন্ড গ্রেনেডসহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।

এ সময় বাদী পেশাগত কাজ শেষে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদীকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বাদী চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে দেরি হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম