ময়মনসিংহে দাফনের তিন মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ দুইজনের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ তুলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম নাজমুস ছালেহীনের উপস্থিতিতে নগরীর কালীবাড়ি কবরস্থান থেকে নাজমুল ইসলাম রাজুর লাশ তোলা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরানের উপস্থিতিতে নগরীর ভাটিকাশর কবরস্থান থেকে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহিনের লাশ তোলা হয়। এ সময় সিআইডি, থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় মাহিন। গত ২১ আগস্ট মাহিনের বাবা জামিল হোসেন উত্তরা পশ্চিম থানায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন পোশাককর্মী নাজমুল। তার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ছোট ভাই রেজাউল। ২৫ আগস্ট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।