মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশে হবিগঞ্জে বালু মহাল ইজারা, আটক ১
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার একটি চা বাগানের ২০ একর সিলিকা বালু মহাল মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা এনেছেন- এমন ভুয়া আদেশ জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন একজন। আটক দুলাল মিয়া (৫০) চুনারুঘাট উপজেলার ইনাতাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান।
বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া চা বাগান এলাকার চন্ডিছড়া টিজি ও রামগঙ্গা সিলিকা বালু মহালের ২০ একর ভূমি মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত একটি আদেশ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দুলাল মিয়া ও তার ৩ সঙ্গী মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
চিঠি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমানের সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি যাচাই করতে আদেশনামার কপিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বেগম সায়মা আক্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয় এ ধরনের কোনো আদেশ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি।
পরে জেলা প্রশাসক দুলাল মিয়াকে আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আদেশনামা জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে সদর মডল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ সময় দুলাল মিয়ার সঙ্গে থাকা অপর ৩ জন পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বলেন, খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন দালালকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন মন্ত্রণালয় থেকে ইজারার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। ওই দালাল এ ইজারা আদেশনামাটি দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ সিলিকা বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া চা বাগানের ভেতরে এ ধরনের বালু মহাল ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও আছে। আদেশনামা পাওয়ার পর সন্দেহ হলে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। সেখান থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়- এ ইজারা আদেশ সেখান থেকে দেওয়া হয়নি।