Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিদেশ যেতে মুক্তিপণ আদায়ে বন্ধুকে নিয়ে ভাতিজিকে অপহরণ

Icon

রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

বিদেশ যেতে মুক্তিপণ আদায়ে বন্ধুকে নিয়ে ভাতিজিকে অপহরণ

কক্সবাজারের রামুতে বিদেশ যেতে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে বন্ধুকে নিয়ে ভাতিজিকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাচাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড থেকে অপহৃত আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে (৮) উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- রামুর ফতেখারকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অফিসের চর সিকদারপাড়া গ্রামের মো. নুরুল আবছারের ছেলে ও অপহৃতের চাচা হাসনাইনুল হক প্রকাশ নাঈম (২৩) ও একই ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব দ্বীপ ফতেখাঁরকুল গ্রামের আব্দুস সোবাহনের ছেলে মো. শাহীন (২৫)।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ নভেম্বর সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেটের সামনে থেকে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র আফিয়াকে সিএনজি অটোরিকশায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে চক্রটি ওই দিন বেলা ১১টার দিকে ভিকটিমের মায়ের মোবাইল নম্বরে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দাবি মতো মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মানবপাচারকারীর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে দেবে অথবা খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে মর্মে হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর রামু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকটিমসহ দুই অপহরণকারীকে আটক করে। ওই সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, একটি হাত ঘড়ি, একটি এটিএম কার্ড এবং নগদ ৯ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটকরা দুইজন বন্ধু। নাঈম বিদেশ যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চাইলে বাসা থেকে টাকা না দেওয়ায় সে তার বন্ধু শাহীনকে নিয়ে তারই আপন ভাতিজিকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন আফিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে ঈদগাঁওয়ের দিকে নিয়ে যায়। এরপর ঈদগাঁও থেকে চৌফলদন্ডি এবং চৌফলদন্ডি থেকে কুতুপালংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর সেখানে শাহীনের এক চাচার বাসায় অবস্থান নেয়।

এরপর আফিয়ার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এছাড়া অফিয়ার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তার শরীরে নকল ব্যান্ডেজ করে ছবি তুলে পাঠায় তারা। যাতে ভিকটিমের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তাড়াতাড়ি তাদের চাহিদা মোতাবেক মুক্তিপণ দিয়ে দেয়।

এরই মধ্যে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে পুনরায় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষ্যে তারা কুতুপালং থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে কলাতলী এবং কলাতলী থেকে লিংক রোড এলাকায় এলে র‌্যাবের হাতে আটক হয়।

অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলার রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম