কর্ণফুলী নদী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, ৮ দিন পর রহস্য উন্মোচন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা কালারপোল খাল থেকে গৃহবধূ দিলরুবা বেগমের (৩৫) লাশ উদ্ধার করার পর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা টানা আট দিন তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছিলেন। ওই গৃহবধূ শাহ আমানত সেতু (কর্ণফুলী সেতু) থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও এখন পুলিশের হাতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির ডিসি (বন্দর) শাকিলা সোলতানা। দিলরুবা বাকলিয়া এলাকার মহসিনের মেয়ে। তার বাসা ছিল কোতোয়ালি থানার আবেদিন কলোনিতে।
পুলিশ জানায়, ১ নভেম্বর কর্ণফুলী এলাকার কালারপোল খালে দিলরুবার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই সেলিম উল্লাহ বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় দিলরুবার স্বামী ব্যবসায়ী আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। নেওয়া হয় দুই দিনের রিমান্ডেও। তবে সন্তোষজনক কোনো তথ্য মিলেনি। তবে কী কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারে নি।
পরে আবেদীন কলোনি থেকে যে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে শাহ আমানত সেতু এলাকায় ওই গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সিএনজি অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়।
আটক অটোরিক্সা চালক মো. মোশাররফ হোসেন পুলিশকে জানান, দিলরুবার কথা মত তাকে অটোরিকশা করে মইজ্জারটেক এলাকা মোড় ঘুরিয়ে কর্ণফুলী সেতুর মাঝখানে নামিয়ে দেন। এরপর তিনি মোবাইল কথা বলতে বলতে সেতু থেকে লাফ দেন। চালক ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাননি।
অটোরিক্সা চালক আরও জানান, গৃহবধূর ভ্যানিটি ব্যাগটি অটোরিকশাতেই ছিল। ভ্যানিটি ব্যাগটি দুইদিন পর তিনি নিমতলা খালে ফেলে দেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। পাশাপাশি ওই অটোরিক্সার চালকের স্বীকারোক্তি মত পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন নদীপাড়ের জেটিঘাটে সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজে তা ধারণও হয়। দিলরুবার লাফ দিয়ে নদীতে পড়ার দৃশ্য এতে দেখা যায়। এরপর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
সিএমপি বন্দর বিভাগের ডিসি শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘থানা পুলিশের টানা ৮ দিনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, গৃহবধূ দিলরূবা শাহ আমানত সেতু থেকে নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যার ভিডিও ফুটেজও প্রমাণ মিলেছে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতে স্বাক্ষীও দিয়েছেন সিএনজি চালক।