দুর্গাপুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি
তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) থেকে
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
টঙ্ক আন্দোলনের স্মৃতি বিজরিত স্মৃতিসৌধ, সাদামাটির নৈসর্গিক সৌন্দর্য, কমলা রানীর দিঘী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, মানব কল্যাণকামী অনাথালয়, লক্ষীপুর, ফান্দা ভ্যালী, সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানিসহ নানাবিধ সৌন্দর্য ঘিরে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রয়েছে নানা সৌন্দর্যের স্থান।
ভৌগোলিক নিদর্শন পণ্য হিসাবে এ এলাকার সাদামাটি স্বীকৃতি পাওয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়েছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে দিন দিন এর গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবেও অপার সম্ভাবনা রয়েছে দুর্গাপুরে সাদামাটি।
এছাড়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা দুর্গাপুর উপজেলায় পাহাড়, বয়ে চলা নদী সৌন্দর্যে গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি ঘটছে সবার কাছে।
প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো পর্যটক ভিড় করেন আশপাশের বিভিন্ন স্পটে। অক্টোবর মাস থেকেই শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের ঘিরে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয়-রোজগার বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, নিরাপত্তার ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, ভালো মানের খারার ও গেল বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো একটু সংস্কার করে দিলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসবেন ভ্রমণ পিপাসুরা। এখানে আসতে প্রায় প্রতিটি সড়ক এখন পাকা। কিছু কিছু সমস্যা দূরীকরণের জন্য যদি সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে পর্যটন খাত থেকেই বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারে সরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমাছ মিয়া বলেন, এখানে বহু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। এখানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন কিন্তু তারা ওয়াশরুম, নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানি না থাকায় অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয় অনেকেই। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাই এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য।
টাঙ্গাইল থেকে বেড়াতে আসা তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে পর্যটনের মতো অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান আছে, যা রাঙামাটি কিংবা সিলেটের থেকে কোনো অংশে কম নয়। আমি কেবল ইউটিউবে দেখেছি, এই প্রথম নিচ চোখে দেখলাম। একটি পর্যটন এলাকায় যা যা থাকা দরকার তার অনেক কিছুই এখানে নেই। যদি এগুলোর সুব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এ এলাকাও পর্যটনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাভিদ রেজওয়ান কবীর যুগান্তরকে বলেন, এই উপজেলায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সদ্য যোগদান করেছি। পর্যটন খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে পর্যটকদের নাগরিক সেবা দিতে পারব।