বেতনের দাবি শ্রমিকদের
গাজীপুরে ১২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ যানজটে ভোগান্তি
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পিএম
গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টিএন্ডজেড অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা দিনব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিক্ষোভ শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ থাকার কারণে হাজার-হাজার কর্মজীবী মানুষ চরম ভোগানি্ততে পড়েন। ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের ফলে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের দিকে এবং ঢাকার দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এর আগেও ওই কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় মহাড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছিল।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মালেকের বাড়ি এলাকায় টিএন্ডজেড অ্যাপারেলস নামের পোশাক তৈরি কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়েই বন্ধ রেখেছে। টিএন্ডজেড গ্রুপের ৬টি কারখানার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কারখানা কতর্ৃপক্ষ পরিশোধ করেনি। শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মালেকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চষ্টো করে।
কারখানা শ্রমিক রবিউল হাসান বলেন, গত দুই মাস ধরে বেতন দেই-দিচ্ছি বললেও এখন পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাইনি। যার কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি। নাজমা আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরে কারখানা খুললেও দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিলেও বেতন দিচ্ছে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত প্রায় এক মাস ধরে এই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সুরাহা করছে না। অবরোধের ফলে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং পরিবহণ চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতনসংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চষ্টো করা হচ্ছে। কিন্তু তারা বারবার কথা দিয়েও বেতন পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিকরা তাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে বারবার চষ্টো করার পরও শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়ছেন না।