প্রেমের নীল বিষে প্রাণ দিল দুই কিশোর

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

প্রেম মানে না বয়স, সম্পর্ক। আর সেই প্রেমের নীল বিষে আত্মহননের মধ্য দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিলো দুই কিশোর। তারা হলো- চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা গ্রামের আবুল ওসমান (১৭) ও ফাহিম (১৬)। মৃত ওসমান শোল্লা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে এবং ফাহিম রফিকুল ইসলামের ছেলে।
থানা পুলিশ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৃথক ঘটনায় দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা জানান, আবুল ওসমান স্থানীয় একটি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। সে সম্প্রতি মোবাইলের মাধ্যমে বরিশালের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বকাঝকা করে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে পরিবারের সবাই মিলে তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে যায়। সেখান থেকে আবুল ওসমান সবার আগে বাড়িতে চলে আসে। রাতে তার বাবা বাড়িতে আসলে দেখে সে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পড়ে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
ওই ইউপি সদস্য জানান, ফাহিম নামে অপর কিশোর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়তো। গত কয়েকমাস আগে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি বিস্কুট কারখানায় কাজ শুরু করে। সেও একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে পরিবারের লোকজনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে করাতে রাজি হয়নি।
এই অভিমানে সে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করে। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক এই দুই কিশোর প্রেমের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পারিবারিকভাবে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।