Logo
Logo
×

সারাদেশ

নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম

নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শান্তনা আক্তার সেতুর বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে দুস্থদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগীরা তদন্তসাপেক্ষে ওই মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

শান্তনা আক্তার সেতু বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড) মেম্বারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ভাতাভোগী নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। 

তিনি বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়ার নামে অসহায় দরিদ্রদের কাছে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকের কাছে টাকা নিলেও তাদের ভাতার কার্ড দেওয়া হয়নি। ভাতার কার্ডের জন্য টাকা দিতে গিয়ে মেম্বার সেতুর বাড়ি থেকে একটি অটোভ্যান হারিয়েছেন এক দরিদ্র। 

দেউলী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের ভুক্তভোগী মেহেদুলের ভাতিজা জানান, তার প্রতিবন্ধী চাচাকে কার্ডের বিনিময়ে মেম্বার সেতু ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। মেহেদুল ওই টাকা দিতে গিয়ে সেতুর বাড়ির সামনে থেকে তার অটোরিকশা চুরি হয়। তিনি উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোভ্যান হারালেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাননি। 

একই গ্রামের সেকান্দার আলীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে তার স্বামীর বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য মেম্বার সেতুকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন; কিন্তু আজ পর্যন্ত কার্ড পাননি। কার্ড চাইলে মেম্বার সেতু টালবাহানা করেন। 

রশিদা বেগম বলেন, তার মেয়ে বেলেজা খাতুনকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য মেম্বার সেতু ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তার কথামতো অনলাইনে খোঁজ করেও কার্ডের সন্ধান পাননি। 

চন্দ্রভান বেওয়া জানান, দুই বছর আগে বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য সেতু মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। আজ পর্যন্ত কার্ড বা টাকা ফেরত পাইনি। 

মৃত দবির উদ্দিনের স্ত্রী জানান, বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য শান্তনাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। দুই বছর ধরে কার্ডের জন্য ঘুরলেও লাভ হয়নি। টাকাও ফেরত দেয় না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে দেউলী ইউনিয়নের ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শান্তনা আক্তার সেতু বলেন, কার্ডের ব্যাপারে ওই নারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এ প্রসঙ্গে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, ভাতার কার্ডের জন্য কোনো টাকা লাগে না। আর টাকা নিয়ে কার্ড করে দেওয়ার ক্ষমতা ওই মহিলা মেম্বারের নেই।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে মহিলা মেম্বার শান্তনা আক্তার সেতুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম