Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মৎস্য খামার লুটের অভিযোগ

Icon

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মৎস্য খামার লুটের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজের মৎস্য প্রকল্পে দ্বিতীয় দফায় লুটপাট চালানোর খবর পেয়ে বাধা দিতে গিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন ইজারাদার।

এ সময় তাকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত চারিদিক থেকে ঘিরে ব্যাপকভাবে পেটাতে পেটাতে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

গুরুতর আহত ইজারাদারের নাম শহীদুল ইসলাম (৫২)। সে কোনাখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ঘোনাপাড়ার মৃত হারুনুর রশীদের পুত্র। 

দ্বিতীয় দফায় লুটপাট চালিয়ে ওই মৎস্য প্রকল্প থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫ বস্তা মাছের খাদ্য, মাছের খাদ্য ক্রয়ের জন্য খামার বাড়িতে রক্ষিত ১ লাখ ২৩ হাজার ২২৫ টাকা, দুটি মোবাইল ও প্রকল্প এলাকায় রোপিত গাছের প্রায় লাখ টাকা মূল্যের পেঁপে। 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী এলাকায় দ্বিতীয় দফায় এ বর্বরতা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

এর আগে মঙ্গলবারও একই সময়ে একদল দুর্বৃত্ত ওই মৎস্য প্রকল্পে লুটপাট করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। 

গুরুতর আহত ইজারাদার শহীদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে যুবদল নেতা পরিচয়ধারী সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে মনির, রাসেল, মুবিন, কলিমুল্লাহসহ একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত আমাদের ইজারা নেওয়া মৎস্য প্রকল্পে এই তাণ্ডব, লুটপাট চালিয়ে আমার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালায়। 

এদিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ইজারাদার শহীদুল ইসলামের ওপর চালানো মধ্যযুগীয় বর্বরতার মোবাইলে ধারণকৃত একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন বলেন, কোনাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ লায়েক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবদলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলের সামনে শহিদুল ইসলামকে পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা করেছে। 

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম