যশোরে জামায়াত নেতা সজল হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ৫, অস্ত্র উদ্ধার
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
যশোরের শহরতলী খড়কিতে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং চাকু উদ্ধার করা হয়।
জেলা পুলিশ বুধ ও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শহরতলীর খোলাডাঙা গাজিরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত এলাকার আছাবুর রহমান হাসিবের ছেলে সাদমান রহমান সাকিন, যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আলামানি হোসেন, একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে রায়হান আহমেদ, খড়কি সার্কিট হাউজপাড়ার বাবলু মোড়লের ছেলে আবদুর রহমান সাগর, শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার ইসলামাইল হোসেনের ছেলে রিয়াদ হাসান।
বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ।
তদন্তের অংশ হিসেবে শহরের খোলাডাঙা গাজিরহাট বাজার থেকে প্রথমে দুই আসামি সাদমান রহমান সাকিন ও আল-আমিন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৩ জন আসামি শনাক্ত হয়। একই সঙ্গে অপরাধের সঙ্গে আরও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য দেয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামির কাছ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়। যাতে দেখা যায়, সাকিন এবং তার সহযোগিরা মাদকসেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই ভিডিওর সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রায়হান আহমেদ, আব্দুর রহমান সাগর এবং রিয়াদ হাসান নামের আরও তিন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে সজলকে তারা খুন করেছে। নিহত সজল কিছুদিন আগে জনৈক ফখরুল ইসলাম ও তার স্বজনদের পথরোধ করে একটি ব্যাগ তল্লাশি করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সজলকে নামাজে যাওয়ার পথে পেছন থেকে আক্রমণ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২১টি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে রায়হান আহমেদের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকুও লাবিবের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ডিবি পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।