রংপুরে চাঁদাবাজ গ্রেফতার না হলে আত্মাহুতির হুমকি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ এএম
রংপুর মহানগরীতে চাঁদা না দেওয়ায় ফুটপাতের দোকানপাট ভাঙচুর ও ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে লাঠি হাতে সড়ক অবরোধ করেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা না হলে আত্মাহুতির হুমকি দিয়েছেন অবরোধকারীরা। নিরাপদে চাঁদা ছাড়াই ব্যবসা নিশ্চিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে তারা দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রংপুর মহানগরীর কারামতিয়া মসজিদ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সেখানকার পিঠা, চা, পান, জুসসহ ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন পরিবারের লোকজন। তারা লাঠি হাতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় অবরোধকারী ফুটপাতের দোকানি লাভলী বেগম জানান, আমরা এই মোড়ের মধ্যে ফুটপাতে চা বিক্রি করে চলি। স্থানীয় মুনশিপাড়ার শান্ত, ইমন, পিয়াল, লিমন, সনি, রাকিবসহ কয়েকজন যুবক প্রতিদিনই আমাদের দোকানে এসে ২০-৩০ টাকার চা বিড়ি খায়। টাকা দেয় না। আমরা কিছু বলিও না কিন্তু সোমবার (৪ নভেম্বর) থেকে বায়না ধরেছে ওদেরকে দোকানপ্রতি প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে চাঁদা দিতেই হবে। আমরা গরিব মানুষ। দিন আড়াইশ টাকা কামাই করা আমাদের জন্য কষ্টকর। ওদের কিভাবে দিব। ওরা আমাদের হুমকি দিয়েছে। টাকা না দিলে কেউ দোকান খুলতে পারবে না। আমরা ভয়ে সন্ধ্যায় দোকান খুলেছি। এশার নামাজের পর ওরা এসে টাকার দাবি করতে থাকে। তখন আমরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওরা আমাদের দোকানে দোকানে হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, এরপর আমরা সবাই মিলে তাদের বাধা দেই। আমাদের সঙ্গে এলাকার লোকজনও আসেন। তখন তারা পালিয়ে যায়। এখন আমরা বিক্ষোভ করতেছি। আমাদের কর্মের নিরাপত্তা, জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে। ওরা এখন আমাদের বাড়িঘরও ভাংচুরের হুমকি দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেন পাঁপড়ী আক্তার, জেসমিন বেগমসহ একাধিক ব্যবসায়ী।
এদিকে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছেড়ে না দিলে সেখানে আসে সেনাবাহিনী। তারা এসে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার এবং তাদের দোকান করা ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। পরে কয়েকজন দোকানি মামলা করার জন্য থানায় যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রংপুর মহানগর পুলিশের কোতায়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিক্ষোভ থেকে সরাতে পেরেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।