লক্ষ্মীপুরে নুরুল আমিন (৭০) নামে এক প্রবাস ফেরত বৃদ্ধকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তার ছোট ভাই সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম টাকার জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বুধবার দুপুরে দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা এলাকায় জোহরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটায় শাহ আলম। পরে নুরুল আমিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত নুরুল আমিন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী ছিলেন। অভিযুক্ত শাহ আলম তার আপন ছোট ভাই। তারা করইতলা এলাকার মৃত তবারক উল্যার ছেলে।
নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বিডিআরে চাকরি করতেন। তিনি ২০০৪ সালে মারা যান। পরে আমার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০২২ সালে মা মারা যান। শাহ আলমের দাবি, মায়ের চিকিৎসা করাতে তার ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমরা অন্য ৪ ভাই যেন তার টাকা দিয়ে দিই। আমরা টাকা দেব বলেছি কিন্তু চাওয়ামাত্র টাকা না পাওয়ায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমাকে মারধরের হুমকিও দেয়।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে সবার সামনেই আমাকে মারধর করবে হুমকি ও গালমন্দ করে। বুধবার ঘটনার সময় মসজিদ থেকে বের হতেই আমার হাতের এসএসের লাঠি (ভর দিয়ে হাঁটার লাঠি) কেড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে। একপর্যায়ে তা ভেঙে গেলে একটি গাছের লাঠি নিয়ে আমাকে দ্বিতীয় দফায় পিটিয়ে আহত করে শাহ আলম। আমি এ ঘটনায় মামলা করব।
শাহ আলম বলেন, মা-বাবার চিকিৎসার জন্য আমি প্রচুর টাকা খরচ করেছি। আমার ভাইয়েরা তেমন কোনো খরচ করেনি। আমি তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা চেয়েছি কিন্তু তারা আমাকে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। টাকা চাইলে ঘটনার সময় আমার সঙ্গে নুরুল আমিনের মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমিও আহত হয়েছি।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, বৃদ্ধের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হবে।