Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে গোসল

Icon

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে গোসল

খুলনার কয়রা উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার সমঝোতার মাধ্যমে তালাক দেওয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন আবু তালেব ইসলাম নামের এক যুবক।

আলোচিত ওই যুবক উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং কয়রা  গ্রামের মাহবুর সরদারের পুত্র। তিনি ঝিলিয়াঘাটা বাজারের ফার্মাসিস্ট ওষুধ ব্যবসায়ী।

সোমবার মনের আনন্দে নিজ বাড়িতে ১৫ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেন আবু তালেব। শুধু তাই নয়, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসীর মাঝে মিষ্টিও বিতরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া দুধ দিয়ে গোসল ও মিষ্টি বিতরণের একটি ভিডিও মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক বাড়ির উঠানে চেয়ারের ওপর বসে আছে। পাশে রয়েছে কলস ভর্তি দুধ। সেখানে থাকা তার বন্ধুরা মগ দিয়ে তার মাথা ও শরীরে দুধ ঢেলে গোসল করাচ্ছেন। এ সময় তাকে বেশ হাসিখুশিও দেখা যায় ওই ভিডিওটিতে।

দুধ দিয়ে গোসল করা আবু তালেব ইসলাম জানান, তাদের সংসারে কোনো দুঃখ-কষ্ট অভাব ছিল না; কিন্তু তার স্ত্রী তামান্না খাতুন  অবাধ স্বাধীনতা চায়। বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চায়। তার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে অবাধে যোগাযোগ রাখতে চায়। আমার স্ত্রী তামান্নার শর্ত আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, এখন অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়েও ভালো আছি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে অনেক অশান্তিতে ছিলাম। আমি অনেক নির্যাতন সহ্য করেও সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি; কিন্তু সে কোনোভাবেই সংসার করতে রাজি না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ মে কয়রা ইউনিয়নের ৪নং কয়রা গ্রামের আবুল বাশার সানার মেয়ে তামান্না খাতুনের সঙ্গে আবু তালেবের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হতে থাকে। একপর্যায়ে তামান্না খাতুন আবু তালেবের সংসার করতে না চাইলে দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে থাকে। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার পর উভয়ের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।

অবশেষে গত রোববার বিকালে দুই পরিবারের সম্মতিতে উপজেলা কাজি অফিসের মাধ্যমে তাদের তালাক হয়।

স্ত্রীর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে মনের আনন্দে আবু তালেব ১৫ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ সোহরাব হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি; কিন্তু মেয়ে কোনোভাবেই সংসার করতে রাজি নয়। এজন্য দুই পরিবারের সম্মতিতে বিচ্ছেদ করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম