ডাকাত দলকে চিনতে পারায় যুবককে খুন
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ডাকাতের হাতে নিহত হয়েছেন উপজেলার দক্ষিণ নগরাজপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম আলে নামে এক যুবক। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতদের চিনতে পারায় তাকে খুন করা হয়েছে।
সোমবার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার ভেতর তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাত দল। পুলিশ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত যুবক ওই গ্রামের শফি উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি সুপারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
সরেজমিন জানা গেছে, রোববার রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ১০-১২ জনের মুখোশ পড়া ডাকাত দল রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে পরিবারের কর্তা বাবা শফি উদ্দিন ও মা হাসিনা বেগম ও স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ফুজিকে ডাকাত দল হাত, পা ও মুখ বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে এবং কোথায় টাকা ও স্বর্ণালংকার রাখা হয়েছে তা জানতে চায়। তাদের থাকার রুমের জিনিসপত্র তছনছ করে ঘরের দরজা আটকে দিয়ে স্বর্ণালংকার লুট করে হামিদুল ইসলাম আলের রুমে প্রবেশ করে ডাকাত দল। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে ভোরে ডাকাত দল চলে যায়।
সকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাবা শফি উদ্দিন জানান, ডাকাত দল আমাকেসহ আমার স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেছে। লুট করেছে স্বর্ণালংকার। হয়তো আমার ছেলে ডাকাত দলকে চিনতে পারায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মাহা জানান, আমি প্রাথমিকভাবে জানতে পেয়েছি তাকে ডাকাত দল নির্মম নির্যাতন করে তার থাকার ঘরে হত্যা করেছে। আমি এই দুষ্কৃতকারী ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছানোয়ার জানান, লাশ উদ্ধার করে আমরা মর্গে পাঠিয়েছি। থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।