মা-ছেলেকে হত্যা: এক জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৭
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
![মা-ছেলেকে হত্যা: এক জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৭](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/11/05/Adalot-672a102b691d1.jpg)
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মসজিদ ও বালুমহাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের শাহজাহান প্রামাণিকের ছেলে ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. দুলাল সরকার, মো. মাসুদ উল্লাহ রতন, মো. রহমত উল্লাহ পান্না, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. বদিউজ্জামান।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবু বক্কার সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাফিজুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদনসাপেক্ষে আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুল ইসলাম আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দোষী সাব্যস্তকরণ ও শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এদিকে আদালতে এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আইয়ুব আলী ও মো সেলিম হোসেন নামে ২ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামে মসজিদ ও বালুমহাল নিয়ে আসামিদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাব হোসেনে মুকুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে আলতাব হোসেনে মুকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও তার সহযোগীরা।
তারা ২০১৯ সালের ২৬ জুন রাতে আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আলতাফ হোসেন মুকুলের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে আলতাফ হোসেন মুকুলকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি তার মা রেজিয়া খাতুন দেখে ফেলায় তাকে চাপাতি, ছুরি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং উভয়ের পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। এ ঘটনায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।