মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, জমেছে বেচা-কেনা
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম দিনেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুরসহ চার উপজেলায় মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে নদী সংলগ্ন মাছঘাটগুলোতে জমজমাট ইলিশের বেচাকেনা। ইলিশের সাইজ বেশ ছোট কিন্তু তুলনামূলক দাম অনেক বেশি।
মঙ্গলবার সকালে (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী সংলগ্ন চান্দারখাল মাছঘাটে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিন পর নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা মাছ শিকারে নামে জেলেরা। জেলেদের জালে ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের পেটেই ডিম লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে ইলিশের পাশাপাশি জেলেদের জালে কোরাল, পাঙ্গাশ, আইড় ও চিংড়ি মাছও ধরা পড়ছে।
আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাটের জেলে এবং আড়ৎদাররা জানায়, রোববার রাত থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার শুরু করেছে। সকালে এবং বিকালে মাছ নিয়ে ঘাটে আসে জেলেরা। ইলিশ বাজারে আসায় ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ ও ভিড় দুটোই বেড়েছে। আর দাম আগের মতোই বেশি।
আড়তদার মো. শাআলম বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে নামে। তবে জালে কিছু মাছ ধরা পড়লেও আশানুরূপ কম। সামনে শীত আসতেছে, এসময় নদীতে মাছের উপস্থিতি কম থাকে।
হাবিবুল সরদার বলেন, আজকে সকাল থেকে মাছ শিকারে নেমেছি। যেভাবে আশা করছি, তার থেকেও কম পেয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যে মাছের পরিমাণ আরও কমে যাবে।
জেলে মো. মাহমুদ বলেন, আমরা সাধারণত কোরাল, পাঙ্গাশ, আইড় ও চিংড়ি মাছ শিকার করি। দীর্ঘদিন পর নদীতে নেমে কিছু মাছ পেয়েছি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে মাছের পরিমাণ আরও কমে আসবে।
রায়পুরের সাইজুদ্দিন মোল্লার মাছ ঘাটের আড়তদার তারেক হোসেন বলেন, নদীতে মাছের পরিমাণ এখনও কম। আরও কমে যাবে। আর ধরা পড়া বেশিরভাগ ইলিশের পেটে এখনও ডিম রয়ে গেছে।
রায়পুরে চান্দারখাল মাছঘাটে পাইকারি দরে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইলিশের হালি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ৮০০ থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হলি চার হাজার সাড়ে চার হাজার টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশের হালি ছয় হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রায়পুরে সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।