ঝিনাইদহ কৃষি বিপণন ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে ঝিনাইদহ কৃষি বিপণন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে কাজ বন্ধ করে নির্মাণ শ্রমিকদের বের করে দেন তারা।
ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক) আবুল খায়ের, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সোহাগ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম ও শ্রী প্রবীর কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) আরেফিন নূরের কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, আপনাকে বলতে হবে কেন? আপনি জানার কে? কি লিখবেন? ঢাকার অনেক সাংবাদিক আমার বন্ধু ইত্যাদি ইত্যাদি। চরম উত্তেজিত হয়ে উঠেন আরেফিন নুর।
অভিযোগ উঠেছে, এই কর্মকর্তার সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। যে কারণে কোনো তথ্য দিতে চাননি তিনি।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলী জেড়াল্ড অলিভার গুড্ডা যুগান্তরকে বলেন, ডিজাইন ও সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযোগ করা হয়েছে, চার কোটি চল্লিশ লাখ টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঝিনাইদহ জেলা শহরের পবহাটি গ্রামে কুড়ি শতক জমির ওপর চারতলা ভিত বিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শুরুতেই বেজমেন্টে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে ঠিকাদার। বিষয়টি নজরে আনার পরেও ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগ নড়াচড়া করছে না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী রোববার (৩ নভেম্বর) কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়োগ করা ঠিকাদার ঢাকার হাটখোলা রোডের বিএ (বাবর অ্যাসোসিয়েট), এমএস এসই (মের্সাস এসএ এন্টারপ্রাইজ) জেভি। ৩০ জুন গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে।
স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আতাফ এন্টারপ্রাইজের মালিক এনায়েতুল্লাহ নয়ন বলেন, গণপূর্ত বিভাগের দেওয়া ডিজাইন অনুযায়ি কাজটি করা হচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ি কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন ঢালাই বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএ ইন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কাজটি কিনে নিয়েছেন তারা (এনায়েতুল্লাহ নয়ন)।
উপসহকারী প্রকৌশলী (ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগ) মো. সোহাগ হোসেন দাবি করেছেন, সিডিউল এবং ডিজাইন মোতাবেক কাজটি শুরু করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি ঘটনা ঘটেনি।
নির্বাহী প্রকৌশলী জেড়াল্ড অলিভার গুড্ডা বলেন, মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে আছেন। ছুটিতে আছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বুঝেন তো দপ্তরে তেমন কাজ নেই। তাই ঢাকায় থাকি।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) আরেফিন নুরের অবস্থান কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী দাবি করেন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি (উচ্চশিক্ষা) নিয়ে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে এসেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার নিজ ঠিকানায় আছেন তারা। এর জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়নি তাদের।