সাদ্দাম হত্যা: এজাহারে কারা আসামি জানেন না বাদী
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
হত্যা মামলার এজাহারে কাদের আসামি করা হয়েছে তা জানেন না বাদী। এমনকি পুলিশ মনগড়া তথ্য দিয়ে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করেছে। রাজশাহীর মোহনপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সাদ্দাম আলীর স্ত্রী মামলার বাদী রেহানা বিবি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।
সোমবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হলরুমে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। এ সময় নিহত সাদ্দাম আলীর ভাই বুলবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলার মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের পালশা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে সাদ্দাম আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরিবারের দাবি নিহত সাদ্দাম আলী ধুরইল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাবেসক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহতের স্ত্রী রেহানা বিবি বলেন, আমার স্বামী হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ কর্মী একসার আলীসহ মোট ছয়জন জড়িত। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত একসার আলীকে ঘটনার সময় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
রেহানা বিবি আরও বলেন, পরদিন স্বামীর লাশ দাফন কাফন শেষে মোহনপুর থানায় হত্যা মামলা করার জন্য একটি এজাহার নিয়ে উপস্থিত হই। তখন পুলিশ তাকে জানায়, তোমার স্বামী হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আমি মামলার কপি চাইলে আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি নতুন করে মামলা করতে চাইলে আমার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পরে আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে মাত্র একজনকে আসামি করা হয়েছে; যাকে ধরে এলাকাবাসী পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন। পুলিশ স্বামীর মরদেহ ময়নাতদন্তের কথা বলে আমার কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। সেই স্বাক্ষরে আমাকে মামলার বাদী করা হলেও কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে আমার স্বামী হত্যার মূল ঘটনাকে আড়াল করে মনগড়া এজাহার লেখা হয়েছে। আবার এমন সব লোককে আসামি করা হয়েছে যাদের আমরা চিনি না এবং আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
নিহত সাদ্দামের স্ত্রী আরও বলেন, আমার স্বামী হত্যা মামলায় মহব্বতপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, মহিষকুণ্ডি গ্রামের আয়েন উদ্দিন (সাবেক এমপি) একরামুল হক বিজয়, আল আমিন বিশ্বাসকে (স্থানীয় চেয়ারম্যান) আসামি করা হলেও এসব ব্যক্তি আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়।
বাদীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, বাদী যেহেতু অভিযোগ করছেন সেহেতু তদন্তের সময় তার মতামত নেওয়া হবে। কেউ জড়িত না হলে বাদ দেওয়া হবে। বাদীকে না জানিয়ে মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।