Logo
Logo
×

সারাদেশ

পুকুরে জাল ফেলে লুট হওয়া অস্ত্র না মিললেও ২ বাইক উদ্ধার

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

পুকুরে জাল ফেলে লুট হওয়া অস্ত্র না মিললেও ২ বাইক উদ্ধার

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুকুরে জাল ফেলল পুলিশ। দুই ঘণ্টা ধরে পুকুরে জাল টেনেও কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুকুর থেকে পুলিশের ব্যবহৃত পুড়িয়ে দেওয়া দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার বিটেক রোড এলাকার একটি পুকুর থেকে এসব মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির এডিসি (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।

পুলিশ জানায়, সোমবার ভোররাতে থানা ভাঙচুর ও লুটপাট মামলার এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করে বিটেক কলেজ রোড়ের পুকুরটিতে লুট হওয়া অস্ত্র রয়েছে। এরপরই পুলিশ ওই অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে। এছাড়া ফিশারি ঘাট থেকে জেলে আনা হয় ৫-৬ জন। দুপুর ১২টা থেকে দুই ঘণ্টা পুকুরে জাল ফেলে টানা হয়; কিন্তু জালে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে নিয়ে আরও অভিযান চালাবে পুলিশ। তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিএমপির ১৬ থানার মধ্যে ১২ থানা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৮ থানা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এসব থানার মধ্যে রয়েছে- কোতোয়ালি, সদরঘাট, ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, আকবর শাহ, ইপিজেড, পতেঙ্গা ও হালিশহর থানা। কয়েকটি থানায় ইটের দেওয়াল ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। থানাগুলো যেন বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছিল। থানার কম্পিউটার থেকে শুরু করে থানার দরজা-জানালা পর্যন্ত ধ্বংস করে দেওয়া হয়। থানাগুলো সংস্কার করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সিএমপির এডিসি (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ যুগান্তরকে বলেন, সোমবার ভোরে থানা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান ও আসামি গ্রেফতারের স্বার্থে তার নাম এখন প্রকাশ করছি না। মূলত তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি পুকুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের ব্যবহৃত দুটি পোড়ানো মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাড়তলী থানা থেকে মোট ৩৫টি মোটরসাইকেল লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম