বিএনপির সমাবেশে গুলি
এসপি মুরাদ আলিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ এএম
হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নির্বিচারে গুলি করে জখম করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম বাদী হয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে রোববার মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।
মামলার বাদী সামছুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সশস্ত্র অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করেছি।আদালত মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গুন্ডা বাহিনী হিসেবে কিছু পুলিশ কাজ করেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে। এ ঘটনায় তখন আইনজীবী সামছুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু দেশে তখন আইনের শাসন না থাকায় পুলিশ প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিতে আদালতকে বাধ্য করে। এখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আমরা ন্যায়বিচারের আশায় মামলাটি দায়ের করেছি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে শহরের শায়েস্তানগরস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।কিন্তু দুপুর ১২টা থেকেই পুলিশ সভার সব প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসভায় আসা নেতাকর্মীদের হয়রানি করে। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হয়ে উঠে। তারা অতর্কিতে নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিংগন, সফিকুর রহমান সিতুসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় পুলিশ সুপার ছাড়াও তৎকালীন ওসি মাসুক আলী, পরিদর্শক (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদকে আসামি করা হয়।