‘জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করার জন্যই এমন হামলা?’
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেছেন, জেলা জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ছিল পরিকল্পিত। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমি নিজেই ১ নভেম্বর (শুক্রবার) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও হামলার আশঙ্কার বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু এর পরেও কীভাবে হামলা করা হলো তা মানা যায় না। তাহলে কি ধরেই নেওয়া হবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করার জন্যই এমন হামলা?
খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে রোববার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে ছাত্র-জনতা জড়িত নয়। বরং যারা আমাদের পার্টি অফিস দখলে নিতে চায়, তাদের উসকানিতে তৃতীয় পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
মধু আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঠিক মাগরিবের নামাজের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি ব্যানারসহ শতাধিক লোকের একটি মিছিল খুলনা জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি বলেন, ৩ জুলাই থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় সংসদ এমনকি সংসদের বাইরেও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে কথা যুক্তি তুলে ধরেছেন। এমনকি রংপুরে আবু সাঈদ হত্যার পর জাতীয় পার্টিই প্রথম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে। আমরাই প্রথমে রাজপথে নেমেছি ও মিছিল-মিটিং করেছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আমাদের পার্টির দুইজন কর্মী শহিদ হয়েছেন।
খুলনার শিববাড়ি মোড়ে জাতীয় পার্টির নির্দেশে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি খুলনা মহানগর সদস্য সচিব দেশ আহমেদ রাজুর নেতৃত্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করানোসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করে আন্দোলনে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেছে। কিন্তু এর পরেও আমাদেরকে আওয়ামী লীগ তথা ফ্যাসিবাদের কথিত দোসর আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।