Logo
Logo
×

সারাদেশ

বৃদ্ধ দম্পতিকে সেলাই রেঞ্জ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আলী-সাইফুল

Icon

উপকূল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম

বৃদ্ধ দম্পতিকে সেলাই রেঞ্জ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আলী-সাইফুল

চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর একটি সেলাই রেঞ্জ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বৃদ্ধ দম্পতিকে। পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্নার আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটক আলী হোসেন (৩২)। তার সঙ্গে ছিল সাইফুল ইসলাম নামে একজন।

জড়িত আলী হোসেন নিহত দম্পতির একই গ্রামের মো. বারেক গাজীর ছেলে। যদিও এ ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ের গ্রিল ভেঙে অপর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম পালিয়েছে।

সাইফুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী গ্রাম বল্লভপুরের মৃত মোস্তফা প্যাদার ছেলে।

গত ২০ জুলাই সদর উপজেলার বহালগাছিয়া গ্রামের নিজ ঘরে খুন হন প্রাক্তন শিক্ষক আশ্রাব আলী (৭০) ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৬০)। ২৪ জুলাই স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৬ জুলাই এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে হিমু। ক্লু-লেস এ ঘটনায় পুলিশ তৎপর থাকলেও নানা প্রেক্ষাপটে তদন্তের অগ্রগতি মেলেনি। অবশেষে নিহতের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুই যুবক। বেরিয়ে আসে খুনের ঘটনা। 

ঘটনার বরাত দিয়ে এডিশনাল এসপি সাজেদুর ইসলাম বলেন, ২০ জুলাই ভোররাতে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন বৃদ্ধ আশ্রাব আলী (৭০)। এ সময় ঘরে ঢুকে তার বৃদ্ধা স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে (৬০) হত্যা করে তারা। আধঘণ্টা পর আশ্রাব আলী ঘরে পৌঁছলে তাকেও হত্যা করা হয়। স্বামী-স্ত্রীকে খুন করতে ব্যবহার করে একটি সেলাই রেঞ্জ; যা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটককৃতরা। হত্যার নেপথ্যে কী আছে তা খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি। একমাত্র ছেলে আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকেন। যে কারণে বৃদ্ধ এই দম্পতিকে নিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতে হতো।

এদিকে ৩১ অক্টোবর নিহতের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় সাইফুল ইসলাম (২৪)। পরে ডিবি পুলিশের হাতে দেওয়া হয় সাইফুলকে। সাইফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটক হয় আলী হোসেন (৩২)। আটক আলী হোসেন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সাইফুল ইসলাম ও আলী হোসেন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং পেশাদার চোর।

অপরদিকে সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালী ডিবি কার্যালয়ের জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ডিবি কার্যালয় থেকে পালানোর পর একটি রিকশাযোগে ২নং বাঁধ ধরে নিজ এলাকায় হাতে হাতকড়া নিয়ে সাইফুলকে যেতে দেখা গেছে। সাইফুল পালানোর ঘটনায় মামলার তদন্ত অফিসার ও ডিবি পুলিশের ওসি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে কথা বলতে চান না। তবে সাইফুলকে ধরতে পুলিশের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম