কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী সামনা বেগম (৬৭) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত হলেও বাস্তবে তিনি জীবিত রয়েছেন। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারেও জীবিত হতে চান।
জানা যায়, সামনা বেগম দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ, স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অর্থের প্রয়োজনে সব ধরনের প্রসেসিং শেষ করে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদনের প্রয়োজন হয়। নিয়মমতো অবেদন করতে গেলে সব তথ্য জমা দেওয়ার পর এনআইডি ভেরিফাই অপশনে গেলে বাধে বিপত্তি। বারবার চেষ্টা করেও নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় এনআইডি ভেরিফাই করা সম্ভব হয়নি।
পরে বাধ্য হয়ে যোগাযোগ করেন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যে চোখ কোপালে উঠে সামনা বেগম ও তার স্বজনদের। জানতে পারেন তিনি আর বেঁচে নেই। যদিও তিনি সশরীর উপস্থিত। নিজের কানে নিজের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো হতভম্ব সামনা বেগম।
সামনা বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে সমাজসেবা অধিদপ্তরে একটি আবেদন করার চেষ্টা করে আমার ছেলে; কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে নাকি আমি মারা গেছি। আমি জীবিত হতে চাই। সামনা বেগমের ছেলে মো. ওমর ফারুক জানান, তার মা সামনা বেগম জীবিত রয়েছেন। অলনাইনে আবেদন করতে গেলে সব তথ্য দেওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছিল না। যাচাই বাছাইয়ে আমার মায়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সার্ভারে দেখাচ্ছিল। পরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসার পর কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার চেক করে বলেন- আমার মা মৃত।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সামনা বেগম উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় এসে আঙুলের ছাপ দিয়ে উপজেলা প্রশাসক থেকে জীবিত থাকার একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়ে গেছেন। তার সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা হবে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি দেখা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে তিনি যদি জীবিত হয়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি আবেদন করার পর উনার আঙুলের ছাপ যদি মেলে তাহলে এটি ১-২ দিনের মধ্যে ঠিক করে দেওয়া হবে।