শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিকদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্যদের মারধর এবং ঝাড়ু মিছিলের ঘটনার পর তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

শনিবার রাতে জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মো. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়। 

রোববার জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. এমদাদুল হক মোল্লা, সদস্য মো. হোসেন আলী ছোট ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া। 

সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শ্রমিক দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সদ্য ঘোষিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ঝিনাইগাতী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রহিম ও কাংশা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলামকে মারধর করেন সদ্য বহিষ্কার হওয়া সদস্য সচিব মো. এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থকরা। এ সময় কমিটির সদস্য মো. নুর ইসলাম মেম্বারের মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন। 

এদিকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন শুক্রবার সকালে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদকে মারধর করেন মো. এমদাদুল হক মোল্লার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। পরে বিকালে সদ্য বহিষ্কার হওয়া সদস্যসচিবের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিকদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।