এসআইয়ের বিরুদ্ধে ইলিশ মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পিএম

ফাইল ছবি
দশমিনা থানার এসআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরএম জাকির নামে এক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ইলিশ মাছ লুট ও ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের কেদিরহাট এলাকার মো. জাকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন বুধবার রাতে তিনিসহ সাত নারী চরের এক জেলের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইলিশ ক্রয় করেন। মাছ ক্রয় শেষে নদীর কিনারা থেকে রাস্তায় ওঠার সময় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরএম জাকির তাদের ধরে সব মাছ নিয়ে যান এবং অপমান করেন।
রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন ওই সময় এসআই জাকির তার থেকে ১৫ হাজার ও মিনারা বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ঘুস নেন।
বর্তমানে ইলিশ মাছ ক্রয় অপরাধ-এমন প্রশ্নের জবাবে রোজিনা বলেন, আমরা গরিব মানুষ তাই কম দাম বলে কিনেছি।
এ বিষয়ে এসআই আরএম জাকির বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন ডিউটিরত ছিলাম এবং ঘোরাফেরা করি। এ সময় আসমা নামে একজন আমাদের দেখে অল্প কয়েকটা মাছ ফেলে দৌড়ে যান। পরে তার মাছ তিনি নিয়ে যান। মাছ লুট ও ১৬ হাজার টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
থানার ওসি মো. আবদুল আলীম বলেন, মাছ লুট ও ঘুসের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ক্রয় করলে পুলিশ মাছ জব্দ করে এবং তা মৎস্য কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মাছ জব্দ করায় তারা ক্ষোভে ও কারও থেকে প্ররোচিত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বদনাম করতে মাছ লুট ও ঘুসের গল্প বানিয়েছেন।