ডিলারের বিরুদ্ধে গরিবের চাল বিক্রির অভিযোগ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবু বকরপুর ইউনিয়নের ডিলার মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা দরের জনপ্রতি ৩০ কেজি বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে আবু বকরপুর ইউনিয়নের রইদেরহাট বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করায় ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
তবে তদন্তে প্রমাণিত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরীন হক।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ৫টি ওয়ার্ডে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। বাকি ৩টি ওয়ার্ডে ৩০ অক্টোবর বুধবার চাল বিতরণকালে প্রায় ৪৮ জন সুবিধাভোগী চাল নিতে আসলে ডিলার মহিউদ্দিন তাদের চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। চাল না পেয়ে ক্ষোভে প্রকাশ করে সুবিধাভোগীরা। তার বিরুদ্ধে চাল বিক্রির অভিযোগ এনে বুধবার রাতে বিক্ষোভ করেন।
স্থানীয় সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, ডিলার মহিউদ্দিনসহ তার লোকজন প্রায় ২০০ বস্তা চাল কার্ডধারী বা স্লিপ যাদের রয়েছে তাদের কাছে বিক্রি না করে অধিক মুনাফায় বিক্রি করে দিয়েছেন। বুধবার রাতে ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে চাপরাশি বাড়ি ও রাঢি বাড়ির তিনটি ঘরে ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করেন এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবু বকরপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মহিউদ্দিনকে ৬৩৯ নামের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের ৩৮ হাজার ৩৪০ কেজি চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সুবিধাভোগী রিনা বেগম জানান, তার নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একটি কার্ড রয়েছে। বিগত বছরগুলোতেও সে চাল পেয়েছিল। গত ৩০ আক্টোবর রইদেরহাট বাজারে ডিলার এসএম মহিউদ্দিনের কাছ থেকে চাল আনতে গেলে সে চাল না পেয়ে খালি হাতে বাসায় ফিরে আসে। ডিলার মহিউদ্দিনের বিচারের দাবি জানান তিনি।
আবু বকরপুর জামায়াতে ইসলামী সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জানান, আবু বকরপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার মহিউদ্দিন প্রায় ২০০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করে ফেলেছে। এলাকাবাসীসহ ইউনিয়ন দফাদার আবু বকরপুর ৭নং ওয়ার্ডের রাঢি বাড়ির তিনটি ঘর থেকে ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ অভিযোগের ব্যাপারে ডিলার মহিউদ্দিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে, সে চাল বিক্রির বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। পরে ফোনটি কেটে দেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক বলেন, সরেজমিনে তদন্ত চলছে। চাল বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শোকজ করে তার ডিলার নিয়োগ বাতিল করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরিন হক জানান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাল বিক্রির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।